চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় কমলো করোনার সংক্রমণ

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় কমলো করোনার সংক্রমণ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমেছে। এ সময়ে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২ জন। শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার (২১ জুন) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, সোমবার নগরীর দশ ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে ৩৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত নতুন ১২ ভাইরাসবাহকের ১১ জন শহরের বাসিন্দা ও একজন রাউজানের। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৮২ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯২ হাজার ২৩৭ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৫৪৫ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যাননি। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৮ জন।

উল্লেখ্য, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ২৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩০ জন ও কর্ণফুলী উপজেলার একজনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ছিলো ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

ল্যাবভিত্তিক গতকালের রিপোর্টে দেখা যায়, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে সবচেয়ে বেশি ১১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এখানে একজনও জীবাণুবাহক মিলেনি।

সবচেয়ে বেশি পজিটিভ শনাক্ত হয় বেসরকারি ল্যাবরেটরি এপিক হেলথ কেয়ারে। এখানে ৩৭টি নমুনার মধ্যে শহরের ৭টিতে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৩২টি নমুনায় শহরের ২টি, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৮ নমুনার মধ্যে শহরের ২টি এবং নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১৯টি নমুনার এন্টিজেন টেস্টে রাউজান উপজেলার একটিতে ভাইরাস পাওয়া যায়।


এছাড়া, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) ল্যাবে ৩৯, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩৯, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১০, ল্যাব এইডে ২, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৫৩ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ছয় ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ১৪৬ নমুনার একটিতেও ভাইরাস শনাক্ত হয়নি।


এদিন, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানোর প্রয়োজন পড়েনি।


ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে আরটিআরএলে ২৫ শতাংশ, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৮ দশমিক ৯২, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬ দশমিক ২৫ ও এন্টিজেন টেস্টে ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং চমেকহা, শেভরন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, ল্যাব এইড, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল, এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাব ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।


উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ৯ এপ্রিল ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

বিআলো/শিলি