অনুমোদন পেল বাংলালিংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন

অনুমোদন পেল বাংলালিংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন
প্রত্যানপত্র গ্রহণ করছেন বাংলালিংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম মাহমুদ সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক মো. আশফাক হাসান খান।

নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ চার বছর অপেক্ষার পর অবশেষে স্বীকৃতি পেল মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের শ্রমিকদের এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন। রোববার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়য়ের শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একেএম মিজানুর রহমানের স্বাক্ষরিত প্রত্যায়নপত্রটি বাংলালিংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

গ্রামীণফোনের পর টেলিকম খাতে দ্বিতীয় এই ট্রেড ইউনিয়নের প্রত্যানপত্র গ্রহণ করেন বাংলালিংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম মাহমুদ সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক মো. আশফাক হাসান খান।

প্রত্যায়নপত্রে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ১৮৯ এবং বিধি ১৭২(২) অনুযায়ী ট্রেড ইউনিয়ন হিসাবে নাম নিবন্ধন করা হয়েছে।’

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলালিংকের তৎকালীন দুই হাজার ৮২ জন কর্মীর মধ্যে ৭২ জন নারী শ্রমিকসহ মোট ৭১৯ জনকে নিয়ে এই ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা হয়।

তৎকালীন বাংলালিংকের ইমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সভাপতি উজ্জ্বল পাল এবং সাধারণ সম্পাদক মো. বখতিয়ার হোসেনের স্বাক্ষরিত একটি আবেদনপত্র রাজউক এভিনিউ-এর শ্রম ভবনে শ্রম পরিচালক বরাবর জমা দেয়া হয়।

আবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১৭৮ নং ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তফসিল আকারে দেওয়া হলো।’

‘তফসিলে রয়েছে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১৭৮ নং ধারার (২)(ক)(৩) মোতাবেক ট্রেড ইউনিয়নটির কর্মকর্তাগনের নাম, পিতা ও মাতার নাম, বয়স, ঠিকানা, পেশা এবং ইউনিয়নে তাদের পদ সম্বলিত তালিকা, ফরম-৫৬(চ), তফসিল-১।’

‘বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১৭৮ নং ধারার (২)(ক)(৪) মোতাবেক চাঁদাদানকারী সদস্যদের বিবরণী ফরম-৫৭(ক), তফসিল-২। মোট সদস্য সংখ্যা ৭১৯ জন। এর মধ্যে মহিলা ৭২ জন।’

ইউনিয়ন নেতারা জানিয়েছেন, যথাযথ নিয়ম মেনে ট্রেড ইউনিয়নের জন্য আবেদন করা হলেও ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল আবেদন বাতিল করে দেয় শ্রম অধিদপ্তর। এরপর মামলা করে বাংলালিংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন।

তবে এই সময়ের মধ্যে বাংলালিংকে ভলেন্টারি সেপারেশন স্কিম (ভিএসএস)-এর আওতায় এক হাজারের বেশি শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলালিংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নে মোট সদস্য সংখ্যা ৪৬৮ জন।

২০১৬ সাল থেকেই বাংলালিংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নটি আন্তর্জাতিক ইউনি গ্লোবাল ইউনিয়নের সঙ্গে অ্যাফিলিয়েটেড হয়ে কাজ করছে।

প্রসঙ্গত, প্রায় সাত বছর আইনি লড়াইয়ের পর ২০১৯ সালের ৭ মার্চ টেলিযোগাযোগ খাতের প্রথম এমপ্লীয়জ ইউনিয়ন হিসেবে গ্রামীণফোন এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন (জিপিইইউ) ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধন পায়