অর্থ পাচারের মামলায় রাশেদ চিশতীর জামিন বাতিল

অর্থ পাচারের মামলায় রাশেদ চিশতীর জামিন বাতিল

*বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত থাকতে হবে কারাগারে
*ফারমার্স ব্যাংকের ১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ

মো. ইব্রাহীম হোসেন: ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতীর জামিন বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে ১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা বিচারিক আদালতে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।

মঙ্গলবার (১ জুন) প্রধান বিচারপতিসহ পাঁচ বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাশেদ চিশতীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এএফ হাসান আরিফ। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। 

১৫৯ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী, তার স্ত্রী রোজী চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকটির ফাস্ট প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদ এবং ব্যাংকটির গুলশান করপোরেট শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের চার ধারায় মামলা করে দুদক।

এ মামলায় ওই বছর ১৯ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ থেকে জামিন পান রাশেদুল হক চিশতী। পরদিন হাইকোর্ট ২৮ মে পর্যন্ত রাশেদুল চিশতীর জামিন স্থগিত করে রুল জারি করে। এরপর স্থগিতাদেশ আবার বাড়ানো হয়। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যান রাশেদুল চিশতী। পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্ট ও বিশেষ জজ আদালতের আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পতির নির্দেশ দেয়।

গত ২৬ জানুয়ারি সেই রুল খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। তাতে রাশেদুল চিশতীর জামিন বহাল থাকে। পরে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করে দুদক। এরপর গত ১ ফেব্রুয়ারি রাশেদ চিশতীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে তাকে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়। ওই লিভ টু আপিল ও রাশেদ চিশতীর জামিন আবেদন একই সঙ্গে শুনানি হয়। 

শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ বাতিল ও জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, হাইকোর্ট রাশেদুল চিশতীর জামিনের আদেশের বিরুদ্ধে দুদক আবেদন করে। আজ আপিল বিভাগ ওনার জামিন বাতিল করে দিয়েছেন। দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির জন্য বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন। এখন এই মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে থাকতে হবে। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী, তার স্ত্রী রোজী চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা আত্মসাতের এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর থেকে মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী ও রাশেদুল হক চিশতী কারাগারে আছেন।

বিআলো/ইলিয়াস