ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জে ৩’শ জনকে আসামী করে পুলিশের মামলা

ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জে ৩’শ জনকে আসামী করে পুলিশের মামলা

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বস্তি থেকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে গ্রামে হামলা গুলিবর্ষন ও ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক কাজল মজুমদার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় এক পুলিশ কনস্টেবল আহতসহ একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে বলেও উল্লেখ করেছেন। 

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বাদি কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় দুই মেম্বার প্রার্থী মোশারফ ও জসিমউদ্দিনের কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। সে সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনসহ ঘটনাস্থল থেকে একটি ককটেল ও আহত পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করেন।

মেম্বার প্রার্থী জসিমউদ্দিন জানান, রূপগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মোশা বাহিনীর প্রধান মোশারফ এবং তিনি নিজে চলতি নির্বাচনে কায়েতপাড়ার ১ নং ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছেন। গত বুধবার রাতে প্রতিক বরাদ্দের পর তার লোকজন আনন্দ মিছিল করার সময় মোশারফসহ তার বাহিনীর লোকেরা জসিমসহ তার কর্মী সমর্থকদের উপড় হামলা চালায়। এসময় প্রচুর ককটেল বিস্ফোরনসহ ফাঁকা গুলি বর্ষন করে মোশা বাহিনী। কায়েতপাড়ায় এবার নৌকার প্রার্থী জাহেদ আলী এই হামলায় মোশারফকে প্রত্যক্ষভাবে মদদ দানসহ চনপাড়া বস্তি থেকে ৪/৫শ সন্ত্রাসী এনে নাওড়া গ্রামে আক্রমন করায় এবং তার বাড়িসহ ২০/২৫টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। পরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। মোশা বাহিনীর হামলায় ইটের আঘাতে পুলিশের কনস্টেবল জমশেদ আলী আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সরকারী কাজে বাঁধা প্রদান এবং হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার উক্ত মামলা রুজু করা হয়। 

উল্লেখ্য, কায়েতপাড়া ইউপি নির্বাচনে স্থানীয় এমপি এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর ( বীর প্রতিক)  এর ছেলে একটি পক্ষের প্রচারাভিযানে নেমে উত্তেজিত বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে সে এলাকার মানুষকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। এসব কারনে সেখানে প্রায় প্রতিদিনই হামলা সংঘর্ষ বতসঘরে তালা মেরে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটছে।  যে কোন সময় সে এলাকায় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের আশংকা করছেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, নির্বাচনে কিছু বিশৃংখলা হচ্ছে।  তবে শুরু করে আমরা এখানে সতর্ক অবস্থানে টহল দিচ্ছি। নিয়োজিত রয়েছে র‍্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল। আমরা সর্বাত্মকভাবে বিশৃঙ্খলা এড়ানোর চেষ্টা করছি।

বিআলো/ইলিয়াস