ওসমানী বিমানবন্দর এখনই চালু হচ্ছে না : বিমান প্রতিমন্ত্রী

ওসমানী বিমানবন্দর এখনই চালু হচ্ছে না : বিমান প্রতিমন্ত্রী

সিলেট ব্যুরো: সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে বন্যার পানি নেমেছে। তবে রানওয়ের দিকনির্দেশনামূললক অ্যাপ্রোচ লাইট এখনো ডুবে আছে। তাই বিমানবন্দর এখনই চালু হচ্ছে না। 

সোমবার দুপুরে ওসমানী বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। পরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রানওয়ের অ্যাপ্রোচ লাইট জ্বালানো গেলে বিমানবন্দর চালু করা হবে। এর আগে গত ১৭ জুন (শুক্রবার) রানওয়েতে পানি ওঠায় তিন দিনের জন্য সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়। 

তখন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদূর রহমান জানিয়েছিলেন, বন্যার পানিতে রাওয়ের অ্যাপ্রোচ লাইট ডুবে গেছে। এ ছাড়া পাওয়ার ক্যাবল পানির নিচে চলে গেছে। এ অবস্থায় ঝুঁকি এড়াতে শুক্রবার বেলা ৩টার পর থেকে আগামী তিনদিনের জন্য বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এরপর থেকে সিলেট বিমানবন্দরে যেসব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট আসার কথা ছিল সেগুলো ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করছে।

এদিকে, আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে হেলিকপ্টারে সিলেট যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করবেন। এরপর সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণার বন্যাকবলিত এলাকাও পরিদর্শন করবেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, সিলেটে আগামী এক সপ্তাহে বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা নেই। এতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত সিলেটের পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত সিলেট। ডুবন্ত সিলেটের বাসিন্দারা একে একে যাচ্ছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। মধ্যবিত্তদের অনেকে দূর-দূরান্তে থাকা তাঁদের আত্মীয়স্বজনের বাসায় উঠেছেন। নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্ররা ঠাঁই নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার ও সিলেট (নগরী) পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার কমেছে। একই সময়ে কুশিয়ারা নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টে কমলেও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে। অবশ্য সারি ও লোভাছড়া নদীর পানি কমেছে।

সোমবার সকাল ১১টার দিকে সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে বিপদসীমার দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার ও কানাইঘাটে ১ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। অন্যদিকে কুশিয়ারা নদীর অমলসিদ পয়েন্টে ১ দশমিক ৮৪ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে বিপদসীমার দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার দশমিক ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

বিআলো/শিলি