টঙ্গীতে পরকিয়ার জেরে প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু

টঙ্গীতে পরকিয়ার জেরে প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু
ছবি : প্রতীকী

মো: আল আমিন, টঙ্গী: গাজীপুরের টঙ্গীতে জিল্লুর রহমান (৫০) নামের এক প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়ের দাবি আত্মহত্যা হলেও স্বজনদের দাবি এটি হত্যা। ঘরের দরজা খোলা রেখে কেউ আত্মহত্যা করে এটা মানতে নারাজ নিহতের বড় ভাই অশ্রু রহমান। 

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে মৃত্যুর কারণ। থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর মর্গে পাঠিয়েছে বলে জানান টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি।

জানা গেছে, মালয়শিয়া প্রবাসী জিল্লুর রহমান টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার শেরেবাংলা রোডের একটি ভাড়া বাড়িতে তিন সন্তান নিয়ে থাকতেন।

নিহতের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার হোমনা থানা এলাকায় বলে জানা গেছে। গত কয়েক মাস আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরলে স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় অন্যত্র একাকী থাকতো নিহতের ভাই অশ্রু রহমান জানান, সোমবার দিবাগত রাতে নিহত জিল্লুর রহমানকে ডেকে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে স্ত্রীর বড় ভাই পলাশ। এ সময় পলাশ কিল, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে বলে জানতে পারি।
পরে সকালে আমাকে জানানো হয় জিল্লুর আত্মহত্যা করেছে। তবে যে কক্ষের ঘটনা সে কক্ষের দরজা খোলাই ছিল। অশ্রু রহমান বলেন, একজন মনুষ পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে দরজা খোলা রেখে আত্মহত্যা করলো অথচ কেউ তা প্রতিরোধ বা আশপাশের কাউকে সাহায্যের জন্যও ডাকলো না। এমটা কি হয়। বিষয়টি রহস্যজনক।

তিনি আরও বলেন, তার ভাই ইতিপূর্বে পরিবারে কলহের কথা জানিয়েছে। মূলত সে (জিল্লুর) প্রবাসে থাকাকালীন স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয় থেকে কলহের সূত্রপাত হয়। স্ত্রী জিল্লুরকে ছেড়ে বয়ফ্রেন্ডের কাছে চলে যেতে চাইছিল। এর জেরে ৩ মাস যাবৎ সে আলাদাও আছে। গতকাল বিকেলেও জিল্লুরের সাথে তার কথা হয়েছে। জিল্লুরকে তার স্ত্রী ফোন করে ডেকে এনেছে বলে জানিয়েছিল আমায়।

নিহত জিল্লুরের স্বজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, জিল্লুরের স্ত্রীর পরকীয়ার ঘটনা নিয়ে পারিবারিক কলহের কথা তারাও শুনেছেন। তাছাড়া একজন মানুষ দরজা খোলা রেখে আত্মহত্যা করলো আর একই ছাদের নীচে তার স্ত্রী সন্তান থেকেও কিছু জানলো না বিষয়টি রহস্যজনক। মৃত্যুর আগে জিল্লুরের স্ত্রীর ভাই পলাশ প্রধান পিটিয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। এমনকি সাংবাদিকরা যেনো কোনো সংবাদ না লিখে সেজন্যও চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের  টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখনও থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে নিহতের স্বজন যেকোনো অভিযোগ দিলে আমরা নিবো।