ডিজে মিউজিক স্কুল করতে চান ডিজে পরী

ডিজে মিউজিক স্কুল করতে চান ডিজে পরী

তারার আলো প্রতিবেদক: নাঈমা হোসাইন পরী। ডিজে পরী হিসেবেই বেশ জনপ্রিয় তিনি। ছোট বেলা থেকেই নাচ-গানের প্রতি অনেক আগ্রহ থাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ও বাফা থেকে নাচ-গানের উপর পড়ালেখা শেষ করেন তিনি।

পরীর ডিজে ক্যারিয়ারের এই উন্নতির পেছনে আছে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। ইন্ডিয়া থেকে ডিজে মিউজিকের উপর তালিম নেন তিনি এবং ডিজে মিউজিক বাজানো শুরু করেন ২০১২ সালে। বিভিন্ন অফিসিয়াল কর্পোরেট প্রোগ্রাম, ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, ফুটবল টুর্নামেন্ট ও বিভিন্ন স্টুডেন্ট প্রোগ্রামে ডিজে মিউজিক বাজিয়ে বেশ প্রশংসা অর্জন করেন তিনি।

তারপর থেকেই তিনি ডিজে পরী হিসেবেই বেশ জনপ্রিয়। অভিনয় চর্চার জন্য পিপলস থিয়েটারের সাথে যুক্ত হয়ে অভিনয়ের দক্ষতা অর্জন করেন পরী। তার অভিনয় জীবন শুরু হয় রবি’র বিজ্ঞাপন দিয়ে, পরবর্তীতে বেশ কিছু বিলবোর্ড ও বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে কাজ করেন তিনি।

এছাড়াও এটিএন বাংলা, একুশে টিভি ও বৈশাখী টিভিতে প্রোগ্রাম হোস্ট হিসেবে ছিলেন পরী। তার উপস্থাপনায় বৈশাখী টিভিতে বাচ্চাদের নিয়ে অনুষ্ঠান “ঘাসফুল” অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। পরী বিদেশের অনেক দেশে ডিজে মিউজিক বাজিয়ে সুনাম ও প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

পরী বলেন, আমাদের এখানের চাইতে বিদেশে ডিজে মিউজিক অনেক জনপ্রিয়, খুব সহজে দর্শকের কাছে পৌঁছানো যায়। বাংলাদেশে ডিজে মিউজিককে আরো জনপ্রিয় করার জন্যে আমার কিছু কর্ম পরিকল্পনা আছে। স্টুডেন্টরা যেন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পায় তার জন্যে মিউজিকের উপরে আমি একটা স্কুল করতে চাই। যেখান থেকে ছাত্র-ছাত্রিরা সব ধরনের মিউজিকের উপরে ব্যাকরণগতভাবে পড়ালেখা করতে পারবে এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন করতে পারবে।

পাশাপাশি আমি একটা মিউজিক স্টেশন করছি, সেখান থেকে মিউজিকের উপরে প্রডিউস করা হবে, নতুন নতুন গানের এ্যালবাম বের করা হবে। এছাড়াও অভিনয়ের প্রতি যেহেতু আমার একটা দুর্বলতা আছে তাই আমি নাটকেও প্রযোজনা করবো এবং আমি নিজেও অভিনয়ের সাথে যুক্ত হবো। সর্বোপুরি একটা সুন্দর পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছি। একটি সুন্দর পরিকল্পনাই সব কিছু।

আমি মূলত মন দিয়ে কাজ করে যেতে চাই। কাজই আমার ধ্যান-জ্ঞ্যান। সবার ভালোবাসা পেয়ে আজ আমি এতদূর পর্যন্ত আসতে পেরেছি। সবার ভালোবাসা নিয়ে সামনে আরো এগিয়ে যেতে চাই। সবাইকে সুন্দর সুন্দর কাজ উপহার দিতে চাই। আশা করি সবাই আমার পাশে থাকবেন।

বিআলো/ইলিয়াস