ঢাবির সুনাম ফিরিয়ে আনতে ভাবতে হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী

ঢাবির সুনাম ফিরিয়ে আনতে ভাবতে হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সুনাম ফিরিয়ে আনতে ভাবতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।


বুধবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে চলমান থাকা এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি ভাবে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত আছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ।


শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীত ইতিহাস ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে আমাদের ভাবতে হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এদেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। অথচ এ বিশ্ববিদ্যালয় এখন তার আগের জায়গায় নেই।


তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছেন। এর আওতায় এ বিশ্ববিদ্যালয় সার্বিক বিষয়ে অগ্রগতি হবে বলে আশা করছি।


তিনি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, প্রধানমন্ত্রীর ৭৫ বছরের জন্ম পূর্তি একই সময়ে পড়ে আমাদের আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।


এরআগে এ অনুষ্ঠানের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের তথ্যচিত্র প্রদর্শন এবং ‘থিম সং’ পরিবেশন করা হয়। এছাড়া, মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ এবং ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশেনের সভাপতি এ কে আজাদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) ও শতবর্ষ উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি’র সদস্য-সচিব অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মাকসুদ কামাল স্বাগত বক্তব্য রাখেন। কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর-কে বিশেষ স্যুভেনির প্রদান করেন।

 বিআলো/শিলি