প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন বেকসুর খালাস

প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন বেকসুর খালাস
প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুনীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির প্রয়াত নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম ইশরাকের উপস্থিতিতে সোমবার এ রায় দেন।

রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই রায়কে যুগান্তকারী উল্লেখ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন। গত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দক্ষিণে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি।রায়ে বলা হয়, আসামির সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার নোটিশের পক্ষে যথাযথভাবে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। আদালতে ইশরাকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নুরুজ্জামান তপন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইশরাক হোসেন এবং তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পদের হিসাব বিবরণী দখিল করার জন্য নোটিশ দিয়েছিল দুদক। ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর দুদকের পক্ষ থেকে একজন কমিশনের নোটিশটি নিয়ে ইশরাকের বাসায় যান। ইশরাক তখন বাসায় না থাকায় সেই নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়ে আসেন। নির্ধারিত সাত কার্যদিবস সময়ের মধ্যে ইশরাক তার সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় ২০১০ সালের ২৯ আগস্ট রমনা থানায় মামলা করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক সামছুল আলম। এর আট বছর পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর আদালতে ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরপর চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি ইশরাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় আটজন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ছয়জন সাক্ষ্য দেন। গত ১১ নভেম্বর উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য রাখা হয়।

রায়ের পর ইশরাক সাংবাদিকদের বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সে সময় আমি ছাত্র থাকলেও দেশের বাইরে ছিলাম। আদালত আজ যে রায়টি দিয়েছেন, সেটি অবশ্যই যুগান্তকারী। সেই জায়গায় আমি বলব, জনগণের ও দেশবাসীর বিজয় হয়েছে। দল-মত নির্বিশেষে আমরা সবাই একটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।

বি আলো / মুন্নী