ফোনে আড়িপাতা প্রতিরোধে বিটিআরসিকে আইনি নোটিশ

ফোনে আড়িপাতা প্রতিরোধে বিটিআরসিকে আইনি নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফোনালাপে আড়িপাতা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে এ নোটিশ দেন।

ফোনালাপে আড়িপাতা প্রতিরোধে আইন অনুযায়ী বিটিআরসির নেওয়া পদক্ষেপ জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পড়ে শিশির মনির জানান, নোটিশে ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সংঘটিত ১৬টি আড়িপাতার ঘটনা উল্লেখ করা হয়।

এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সংলাপ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ফোনালাপ, প্রয়াত সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবং রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার নাজমূল হাসানের ফোনালাপ উল্লেখযোগ্য। এসব আড়িপাতার ঘটনা বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বহুল প্রচারিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতী পায়। এছাড়া ২০১১ সালের ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ টেলিকিমিউনিকেশন রেগুলেটরি অ্যাক্ট ২০০১ প্রণয়ন করা হয়। আইনের ৩০ (চ) ধারা অনুযায়ী টেলিযোগাযোগের একাত্ততা রক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এ কমিশনের দায়িত্ব।

কিন্তু এ ধরনের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা অহরহ ঘটছে। অথচ, বাংলাদেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী কমিশনের দায়িত্ব হল ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ নিশ্চিত করা বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

নোটিশে ৭ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। অন্যথায়, উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হবে বলে জানান আইনজীবী শিশির মনির।

যারা নোটিশ দিয়েছেন তারা হলেন, এডভোকেট রেজওয়ানা ফেরদৌস, উত্তম কুমার বণিক, শাহনা বিলাকাশফী, ফরহাদ আহমেদ সিদ্দীকী, মোহাম্মদ নওয়াব আলী, মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, মুস্তাফিজুর রহমান, জিএম মুজাহিদূর রহমান (মুন্না), ইমরুল কায়েস ও একরামূল কবির। 

বিআলো/শিলি