মুশফিকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে খুলনার টাইগার্সের জয়

মুশফিকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে খুলনার টাইগার্সের জয়

স্পোর্টস ডেস্ক: মুশফিকুর রহীমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রাজশাহী রয়্যালসকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে খুলনা টাইগার্স। তবে আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন মুশফিক। মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিনি। ৫১ বলে ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন খুলনা অধিনায়ক।


মঙ্গলবার (১৭ডিসেম্বর) টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা তেমন ভালো হয়নি রাজশাহীর। ২৬ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসে দুই ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই এবং লিটন দাসকে।


এরপর ১৭ বলে ২ ছক্কায় ১৯ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন আফিফ হোসেন ধ্রুবও। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে রবি বোপারাকে নিয়ে ১০৬ রানের বড় জুটি গড়েন শোয়েব মালিক।


আমিরের বলে আউট হওয়ার আগে ৫০ বলে ৮৭ রানের এক ইনিংস খেলেন মালিক। যে ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ৮ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায়। ইনিংসের ৯ বল বাকি থাকতে আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরলেও দলের সংগ্রহটা ঠিকই হৃষ্টপুষ্ট করে দিয়ে গেছেন পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডার। খুলনা টাইগার্সের বোলারদের তুলোধুনো করে ৪ উইকেটে ১৮৯ রান তুলে রাজশাহী রয়্যালস।


১৯০ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একেবারেই খারাপ হয় খুলনার। দলীয় ২৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার শান্ত এবং রহমতুল্লাহ গুরবাজকে হারিয়ে বসে তারা। এরপর রাইলি রুশোকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ৪২ রানে রুশো ফেরার আগে দলকে শক্ত অবস্থানে রেখে যান। ক্রিজে তখনও লড়ছেন মুশি। শামসুর রহমান এসে খেলে যান ২৯ রানের কার্যকরী ইনিংস।


শেষ চার ওভারে খুলনার জয়ের জন্য দরকার ছিলো ৩৬ রান। ১৭তম ওভারে অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল বল করতে এসে মাত্র ৪ রান দিয়ে তুলে নেন শামসুর রহমানকে। মুশফিকুর হিমকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক। পরের ওভারে ফরহাদ রেজার ওপর চড়াও হন ফ্রাইলিঙ্ক। তুলে নেন ১৪ রান। দলের জয়ের জন্য যখন দরকার ২ রান। মুশির সেঞ্চুরি পূরণ হতে দরকার তখন ৪। কিন্তু বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে শোয়েব মালিকের তালুবন্দী হন তিনি। তবে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে ভুল করেননি ফ্রাইলিঙ্ক।