মিয়ানমারে বিবিসির সাংবাদিক নিখোঁজ

মিয়ানমারে বিবিসির সাংবাদিক নিখোঁজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে বিবিসি বার্মা সার্ভিসের একজন সাংবাদিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

অং থুর নামে ওই সাংবাদিককে রাজধানী নেপিদো শহরের আদালত চত্বরের বাইরে রিপোর্ট করার সময় সাদা পোশাকধারীরা তুলে নিয়ে যায়। ওই সাংবাদিক নিখোঁজের পর বিবিসি এক বিবৃতিতে তাদের চরম উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। বিবিসির পক্ষ থেকে জান্তা কর্তৃপক্ষের কাছে তাকে খুঁজে পেতে সহায়তা চাওয়া হয়।

এদিকে, শুক্রবার কয়েকটি শহরে সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত আটজন নিহত হয়েছে। গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর আজ শুক্রবার পর্যন্ত মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মোট ২২০ জন নিহত হয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, অং থুরকে আরেকজন রিপোর্টারের সঙ্গে তুলে নেয়া হয়। তার নাম থান টাইক অং। তিনি দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মিজ্জিমার হয়ে কাজ করতেন। এর আগে জান্তা সরকার যে কয়েকটি গণমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল করেছিল তার মধ্যে মিজ্জিমা একটি।

ওই সাংবাদিককে যে ব্যক্তি ধরে নিয়ে গেছেন তিনি স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে নম্বরবিহীন একটি গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারপর থেকে বিবিসির পক্ষ থেকে অং থুরার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

বিবিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বিবিসি মিয়ানমারে তার সব কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে খুব গুরুত্বের সাথে নিয়েছে এবং অং থুরার সন্ধানের জন্য আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।

মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর জান্তা সরকার এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে অন্তত ১৬ জন এখনও আটক রয়েছেন। আটকদের মধ্যে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির ফটো সাংবাদিক থেইন জ’ও রয়েছেন।

গত বছরের নভেম্বরে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন হয়। নির্বাচনে সু চির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বিপুল বিজয় পায়। তবে দেশটির সেনাবাহিনী এ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ আনে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী সু চিকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে। একই সঙ্গে সু চিসহ দেশটির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে। এক বছরের জন্য মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি করে সেনাবাহিনী। সেনা অভ্যুত্থানের পরপরই মিয়ানমারে বিক্ষোভ শুরু হয়। হুমকি-ধমকি, দমন-পীড়ন, গ্রেপ্তার, গুলি সত্ত্বেও দেশটির গণতন্ত্রপন্থীরা সেনাশাসনের বিরুদ্ধে টানা বিক্ষোভ করে আসছেন।

বিআলো/শিলি