রূপগঞ্জে কারখানার আগুন নেভেনি, গুরুতর দগ্ধ ১১ জন ঢামেকে

রূপগঞ্জে কারখানার আগুন নেভেনি, গুরুতর দগ্ধ ১১ জন ঢামেকে
ছবি: সংগৃহীত

বিআলো ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার আগুন বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দিকেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল আল আরিফিন জানান, ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে। আটকা পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।

রূপগঞ্জের ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন জানান, এ ঘটনায় অন্তত অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১ জন জন শ্রমিককে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত সোয়া দশটার দিকে তিনি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ১৯ জন শ্রমিক দগ্ধ অবস্থায় এসেছিলেন। তাদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা খুব খারাপ। তাদের আমরা ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধ শতাধিক। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে ভিড় বাড়ছে।’

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় আগুন লাগে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল আল আরিফিন রাত ৮টার দিকে জানান সাততলা ভবনের ছয় তলা পর্যন্ত আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। ভবনে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

এ ঘটনায় দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

তারা হলেন, সিলেট জেলার যতি সরকারের স্ত্রী স্বপ্না রাণী (৪৫) ও কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার উত্তরকান্দা এলাকার হারুন মিয়ার স্ত্রী মিনা আক্তার (৩৩)।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও শ্রমিকদের উদ্ধার করতে না পারায় শ্রমিকরা রাত সাড়ে ১০টা দিকে কারখানার সামনে ভাংচুর শুরু করেন। তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।

শ্রমিকদের অভিযোগ, হাসেম ফুড লিমিটেড কারখানাটির যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে সে ভবনটি বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মাণ করা হয়েছে। কারখানা পরিচালনায় অব্যবস্থাপনার কারণেই আগুন লেগেছে বলে তারা দাবি করছেন।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহ নূসরাত জাহান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতিকুল ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহ নূসরাত জাহান বলেন, ‘কারখানা কর্তৃপক্ষ যদি বিল্ডিং কোড না মেনে ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভবন তৈরি করে থাকে এমন প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিআলো/ইলিয়াস