‘লবিষ্ট নিয়োগ করে সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না’

‘লবিষ্ট নিয়োগ করে সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শওকত মাহমুদ বলেছেন, বিদেশে লবিষ্ট নিয়োগ করে লাভ হবে না, তদবির করে ক্ষমতা টিকানো যাবে না। কারণ বিশ্ব বিবেক জেগে উঠেছে, মানবাধিকার সংগঠনগুলো একের পর এক রিপোর্ট প্রকাশ করছে। সরকার যতই লবিষ্ট নিয়োগ করুক সত্যকে আর ধামাচাপা দেয়া যাবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক তাজমেরি এস ইসলামের মুক্তির দাবিতে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

শওকত মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সালে যখন চূড়ান্ত বিজয় সমাগত যখন জনগণ বিজয়ের জন্য অপেক্ষা করছে তখন তারা বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষকদের হত্যা করেছে কিন্তু তারপরও তারা বিজয় অর্জন করতে পারেননি। তাদের পতন হয়েছে। নব্বইয়ে এরশাদের পতনের প্রাক্কালেও স্বৈরাচার এরশাদ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পেশাজীবী নেতা ড্যাবের যুগ্ম মহাসচিব ডা. মিলনকে হত্যা করেও তার পতন ঠেকাতে পারেনি। সেদিন ২৭ নভেম্বর থেকে স্বৈরাচার পততের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হয়েছিল। সাংবাদিকরা সেদিন থেকে পত্রিকা প্রকাশ বন্ধ করে দিয়েছিল এবং এরশাদের পতন পর্যন্ত তারা পত্রিকা বের করেনি।

তিনি বলেন, আজকে এই স্বৈরাচার সরকার তাদের পতনের প্রাক্কালে আবার সেই শিক্ষকের উপর আক্রমণ শুরু করেছে, তাজমেরি ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে ভয় ধরানোর জন্য। আমরা কোনো অবস্থাতেই পিছু হটব না। আমরা এ সরকারের পতন ঘটাবো এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তাজমেরি এস ইসলাম, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীসহ সকল রাজবন্দীকে মুক্ত করে আনব ইনশাল্লাহ।

শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার পরিচালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আবদুল কুদ্দুস, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রুকন, ঢাবির অধ্যাপক আক্তার হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সাংবাদিক নেতা রাশেদুল হকসহ পেশাজীবী নেতারা।
বিআলো/শিলি