শিক্ষার্থী ফাহাদ হত্যায় উত্তাল বুয়েট
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় উত্তাল বুয়েট।
ফাহাদ হত্যার বিচার দাবিতে সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল থেকে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে এ ঘটনায় সকাল থেকেই সিসিটিভির ফুটেজ উদ্ধারের দাবিতে প্রভোস্টের অফিস ঘেরাও করেন শিক্ষার্থীরা।
সিসিটিভির ফুটেজ চেক করতে গিয়ে দেখা যায় রাত ২টা ৬ মিনিটের পর থেকে সিসিটিভির ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ফুটেজ উদ্ধারে সাত ঘণ্টার মতো সময় লাগবে এরপর জানা যাবে ঘটনার মূল কারণ।
নিহত ফাহাদের সহপাঠীরা বলছেন, রাত ৮টার দিকে শের-ই বাংলা হলের এক হাজার ১১ নম্বর কক্ষ থেকে কয়েকজন ফাহাদকে ডেকে নিয়ে যায়। এর পর রাত ২টা পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তাদের ধারণা, ২ হাজার ১১ নম্বর রুমে নিয়ে তাকে পেটানো হয়। পরে শেরেবাংলা হলের একতলা ও দুই তলার মাঝখানের সিঁড়ি থেকে ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
ফাহাদের এক সহপাঠী বলেন, যারা ফাহাদকে ডেকে নিয়ে যায় তাদের আমরা চিনি। কিন্তু এ মুহূর্তে তাদের নাম বলতে চাচ্ছি না।
তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে, এ বিষয়ে এখনও কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। এদিকে এ বিষয়ে বুয়েট কর্তৃপক্ষও এখনও কিছু বলেনি।
এ ঘটনায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল ও সহসভাপতি ফুয়াদকে আটক করেছে পুলিশ।
চকবাজার থানার ওসি সোহরাব হোসেন জানান, বুয়েট শিক্ষার্থী ফাহাদের মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাসেল ও ফুয়াদকে আটক করা হয়েছে। তারা দুজনই বুয়েট শিক্ষার্থী। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
এর আগে রোববার দিনগত রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলা থেকে ফাহাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ ও তার পরিবার বলছে, ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। শরীরের পেছনে, বাম হাতে ও কোমর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত আঘাতের কালো দাগ ছিল।
মন্তব্য করুন