সেতুর অভাবে দুর্ভোগে  ১০ হাজার মানুষে  

সেতুর অভাবে দুর্ভোগে  ১০ হাজার মানুষে  

মো.আদর আলী, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী): এপারে উপজেলাসহ উত্তর দুরাকুটি ওপারে দক্ষিণ দুরাকুটির অর্ধশতাধিক গ্রাম। মাঝখানে খরস্রোতা চারালকাটা নদী। এই নদীর উপর দিয়ে প্রায় কয়েক হাজার মানুষকে পাড়ি দিতে হয়। নদীর জড়িয়াল ঘাটে একটি সেতু নির্মানের জন্য এলাকাবাসী স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে দাবি জানিয়ে এলেও সুফল পাননি। 

তাই যুগের পর যুগ ধরে দুপারের মানুষ দুর্ভোগে জীবন পার করে আসছেন। একটি সেতুর জন্য ভুক্তভোগী মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসলেও সেতু নির্মানে কার্যকরে নেই কোনো উদ্যোগ। এ অবস্থায় দুই পারের প্রায় দশ হাজার মানুষ সেতুর অভাবে অবর্ননীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। 

উত্তর দুরাকুটি ও দক্ষিণ দুরাকুটির বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নদীর ওপারে কিশোরগঞ্জ উপজেলা শহর হওয়ায় নদীর এপারের মানুষ উপজেলা শহরে যেতে বিভিন্ন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কেননা, দক্ষিণ দুরাকুটির জড়িয়াল ঘাটে  ব্রিজ না থাকায় অতিরিক্ত কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয় উপজেলা সদর। 

আবার ওপারের মানুষ এপারে আসতে হলে ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই দক্ষিণ পারের মানুষ বিকল্প হিসেবে পাশের থানা তারাগঞ্জে যাতায়াত করে থাকেন। 

উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের দক্ষিণ দুরাকুটি ঘোপাপাড়া গ্রামের মফেল উদ্দিন বলেন, একটি সেতুর অভাবে আমরা দীর্ঘদিন ধরে জীবনের সাথে যুদ্ধ করে বেচে আছি। সব এলাকার উন্নয়ন হলেও আমাদের এলাকার উন্নয়ন হয় না। আমরা শুধু একটি সেতুর অভাবে পিছিয়ে আছি। 

একই গ্রামের রমিজ মিয়া বলেন, জড়িয়াল ঘাটে ব্রিজ তো নেই, একটা বাশের সাঁকোও জোটেনি আমাদের কপালে। 

বাহাগিলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ দুলু বলেন, বাহাগিলী ইউনিয়নের দুপারের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন একটি সেতুর। কিন্তু স্বপ্ন শুধু স্বপ্নে রয়ে গেছে। বিভিন্ন উপরমহলে বিষয়টি অনেকবার তুলে ধরা হয়েছে। তারা বলছে বাজেট পাশ হয়ে এলেই কাজ শুরু করা হবে।    

বিআলো/শিলি